সেবা প্রোফাইল
বাংলাjদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক শিশু। জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার এই শিশুদের দেশের যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলে তাদের শারীরিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক ও সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধনের লক্ষ্যে ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয়। শিশুর নিরাপত্তা ও কল্যাণ সম্পর্কে জাতিসংঘ কর্তৃক ১৯৮৯ সালে শিশু অধিকার সনদ গৃহিত হলেও এর প্রায় তের বৎসর পূর্বে ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের শিশুদের সার্বিক উন্নয়ন এবং জাতীয় স্বার্থে শিশুদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপলব্ধি থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বর্তমানে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, দোয়েল চত্বর সড়ক, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০ এর কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমী শিশুদের সাংস্কৃতিক ও মানসিক বিকাশের একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান। শিশু একাডেমীর মূল কর্মকান্ড পরিচালিত হয় কেন্দ্রীয় ইউনিট থেকে। একই কর্মসূচি কেন্দ্রীয় অফিসসহ সকল জেলায় অনুসরণ করা হয়। জেলা শাখাগুলোর সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি পরিচালনা কমিটি রয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় শিশুদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে স্থানীয় কমিটি রয়েছে। এভাবে দেশের সকল শিশুকে একাডেমীর কর্মকান্ডের আওতায় আনার একটি কার্যকর প্রক্রিয়া চালু করা সম্ভব হয়েছে।
ভিশন
সমাজ, রাষ্ট্রে, শান্তি ও উন্নয়নে নারী পুরুষের মধ্যে সমতা স্থাপন, মানুষ হিসেবে নারীর উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্তকরণ।
মিশন
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার সমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংস্থার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে বাস্তবায়ন। মহিলাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, স্বাবলম্বিতা অর্জন, দক্ষ ও জনশক্তিতে রূপান্তর, সামাজিক, রাজনৈতিক আইনগত অধিকার ইত্যাদি প্রতিষ্ঠায় সচেতনতা সৃষ্টি, দক্ষতা বৃদ্ধি ও সমান সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্র প্রস্তুত।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯-এর ৪, ৬, ৭, ৮ ও ৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণের নিমিত্ত তথ্যাদি স্ব-উদ্যোগে প্রকাশ করবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস